ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল মূলত দুইটি উপাদান দ্বারা তৈরি হয়। একটি হচ্ছে টেকোফেরল অন্যটি টেকোসফট এই দুটি উপাদান দ্বারা ভিটামিন ই গঠিত হয়। এটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে বলা হয় শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা শরীরের একটি ভিটামিন।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের শরীরে ভিটামিন ই ক্যাপ প্রয়োজন প্রতিদিন ৭ গ্রাম থেকে ১৫ গ্রাম পর্যন্ত। এবং এটি যদি আমাদের খাদ্যের মধ্যে আমরা না পাই তাহলে ওষুধের সাপোর্ট নেই বা ভিটামিন সাপলিমেন্ট হিসেবে নেই। আপনারা যদি রেগুলার খাবারের মধ্যে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ না করতে পারেন তাহলে আপনারা ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন। এই ই ক্যাপ এর কি উপকারিতা রয়েছে ও কি অপকারিতা রয়েছে এবং কিভাবে খাবেন বিস্তারিত নিচে দেওয়া হয়েছে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কাজ কি?
ভিটামিন ই ক্যাপ ক্যাপসুলের কাজ হচ্ছে বয়সের ছাপ দূর করে এবং আপনার তরুণ্য দূরে রাখে। এবং দ্বিতীয় কাজটি হচ্ছে ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। বয়স্কদের মত যদি আপনার শোল সাদা হয়ে যায় বা চুল চলে যাচ্ছে তাহলে এই ক্যাপসুলটি আপনার খুব উপকারে আসবে। এবং আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে চুলকে গাড় এবং মজবুত রাখবে। মহিলাদের মাসিকের জটিলতার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপ খুব ভালো কাজ করে। তাছাড়াও এটি আপনার পা থেকে চোল পর্যন্ত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে পারেন।
সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই এর ঘাটতির কারণে ঠান্ডা জনিত রোগ গুলো লেগেই থাকে যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদ। ই ক্যাপ ভিটামিন সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ই ক্যাপ খেলে কি উপকার হয়?
ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে অনেক রোগের উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে গুরুত্বপূর্ণ রোগ থেকে রক্ষা করতে পারেন। নিচে কিছু উপকারের তালিকাগুলো দেওয়া হয়েছে।
- বয়সের ছাপ দূর করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
- চুল পড়া বা পেকে যাওয়া বন্ধ করে এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়।
- বাত ব্যথা এবং যেকোনো ব্যথা জনিত সমস্যা থেকে আপনারা মুক্তি পাবেন।
- স্নায়বিক অবক্ষয় কেমোথেরাপি দেওয়ার কারণে যাদের স্নায়বিক দুর্বলতা হয়ে থাকে সেই স্নায়ুর দুর্বল থাকে সচল করার জন্য আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে পারেন।
ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে সাধারণত ডাক্তাররা বলে থাকে রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে খেতে হয় দুই থেকে তিন মাস। তবে আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ই এর ঘাটতি থাকে তাহলে আপনি এটি সেবন করতে পারবেন।
ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করলে আপনার যে সমস্যাগুলো দেখা দিবে সেগুলো নিচে বিস্তারিত তালিকা করে দেওয়া হয়েছে।
- ক্লান্তি বোধ হতে পারে।
- পেশী দুর্বলতা সৃষ্টি করে
- হাই ব্লাড প্রেশার হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।
- এবং ডায়রিয়াও হতে পারে।
- ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে পারে
- জ্বর এবং মাথা ঘোরা সমস্যা হতে পারে
- তবে এটি সবার ক্ষেত্রে না কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে।
ই ক্যাপ খেলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়?
চুল পড়া বন্ধ করতে খুব ভালো উপকার করে ভিটামিন ই ক্যাপ। আর সাথে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া রোদ করে ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
ই ক্যাপ কখন খেতে হয়?
সাধারণভাবে ডাক্তাররা বলে থাকে ভিটামিন ই ক্যাপ ক্যাপসুলটি রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে খেতে হয়।
ই ক্যাপ কখন খাওয়া যাবে না?
ভিটামিন ই ক্যাপ খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসারের রোগী যারা আছেন এবং পেশারের ওষুধ যারা খাচ্ছেন তারা এই ক্যাপসুলটি খাবেন না। এবং যারা হার্টের সমস্যায় আছেন হাটের ঔষধ খাচ্ছেন তারাও এই ই ক্যাপ ক্যাপসুল টি খাবেন না।
চুল গজানোর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যাবে কি?
ই ক্যাপসুল চুল বা দাড়ি গজানোর জন্য ও খেতে পারেন খুব ভালো কাজ করে। আপনার মাথায় চুল ও মুখে দাড়ি কম থাকলে নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে পারেন।
উপসংহার
উপরে ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে আসা করছি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেল আত্মীয় স্বজন বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।